কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা

কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী

কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা থেকে রাত ১০ঃ৩০ মিনিটে যাত্রা শুরু করে সকাল ৭ঃ২০ মিনিটে কক্সবাজারে পৌঁছায়, চলার মাঝে এই ট্রেন বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রাম স্টেশনে যাত্রা বিরতি দিয়ে থেকে। দুপুর ১২ঃ৩০ মিনিটে একই ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ছেড়ে আসে, ঢাকায় পৌঁছায় রাত ৯ঃ১০ মিনিটে । ফিরতি পথেও চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে ট্রেনটি যাত্রাবিরতি কর। কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে সোমবার।

কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজারের দূরত্ব ৫ শত ৫১ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে কক্সবাজার স্টেশনের প্রকৃত দূরত্ব ১৫০ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার। রেলওয়ের নতুন নিয়ম অনুযায়ী ১০০ মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের সেতুর জন্য অতিরিক্ত ভাড়া ও দূরত্ব নির্ধারণ করছে। এ কারণে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে ৭ টি সেতুর জন্য বাড়তি ৫৪ কিলোমিটারের ভাড়া যোগ করা হয়েছে। অনলাইনে টিকিট কাটলে ভাড়ার সাথে ২০ টাকা সার্ভিস চার্জ যোগ হবে এবং এসি বার্থ টিকেট কাটলে এই টিকিটের সাথে ৫০ টাকা বেডিং চার্জ যোগ হবে।

ট্রেনের টিকেট কাটার উপায়

কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেন এর টিকেট কাটা যাবে সরাসরি কাউন্টারে গিয়ে অথবা অনলাইনে। অনলাইনে টিকেট কাটতে ভিসিট করুন  railapp.railway.gov.bd এই ওয়েবসাইটে। আপনি খুব সহজেই অনলাইনে ট্রেনের টিকেট ক্রয় করতে পারবেন ঘরে বসে।

পর্যটন ও স্থানীয় অর্থনীতির বিকাশে এই ট্রেনের ভূমিকা

কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হবার ফলে এই অঞ্চলে পর্যটন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সোনালী সৈকত, প্রাণবন্ত স্থানীয় বাজার এবং সামুদ্রিক খাবারের জন্য বিখ্যাত কক্সবাজার দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ভ্রমণকারীদের কাছেই একটি প্রিয় স্থান। কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য বাস বা ব্যক্তিগত যানবাহনের পাশাপাশি এই ট্রেনটি একটি সাশ্রয়ী ও সুবিধাজনক বিকল্প যাতায়াত মাধ্যম হিসাবে কাজ করে আসছে, যা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ সহজলভ্য করে তুলেছে।

আরও জানুনঃ পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেন এর সময়সূচী ও টিকেটের মূল্য ২০২৫

কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেন কেবল পরিবহনের একটি মাধ্যম নয়; এটি অগ্রগতি এবং সুযোগের প্রতীক। এটি কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সুন্দর্য দেখার জন্যে ভ্রমণের পরিবহণ ব্যবস্থা প্রদান করে, একই সাথে দেশের টেকসই উন্নয়ন এবং পর্যটন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এটি নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের ভ্রমণ ভূদৃশ্যের একটি প্রিয় মাধ্যম, যা মানুষকে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের অতুলনীয় সৌন্দর্য দেখতে পর্যটকদের সাহায্য করে আসছে।